সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
নার্সিং পড়ার জন্য একজন প্রার্থীকে নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতে হবে। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (BNMC) অধিদপ্তর কর্তৃক নার্সিং পড়ার যোগ্যতা নির্ধারিত হয়ে থাকে। BNMC কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা অনুসারে সকল প্রার্থীকে সরকারি নার্সিং পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে নার্সিং পড়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। নিচে নার্সিং পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
সরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা হলো এইচএসসি পাশ। নার্সিং কোর্সে আবেদন করতে হলে প্রথমেই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। এরপর যে কোন বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মােট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম থাকলে হবে না (অর্থাৎ দুটোতেই জিপিএ ২.৫০ এর উপরে থাকতে হবে)।
নার্সিং এ মোট ১০০ নাম্বারের MCQ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যার ন্যূনতম পাস নাম্বার হলো ৪০। তবে, ৪০ নাম্বার পেলেই সরকারি নার্সিং পড়ার যোগ্যতা আর্জন করতে পারবেন না। যারা সর্বোচ্চ নাম্বার (অনুমানিক ৭০ থেকে ৯০ নাম্বার) পাবে, তারা সরকারি নার্সিং এ ভর্তির যোগ্যতা আর্জন করবেন।
বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আপনাকে সরকারি নার্সিং পরিক্ষায় আংশ গ্রহন করতে হবে। যদি কেউ সরকারি নার্সিং পরিক্ষায় আংশ গ্রহন না করতে পারেন তাহলে সে বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
সরকারি নার্সিং পরীক্ষায় যারা ন্যূনতম ৪০ বা তার বেশি নাম্বার পেয়ে পাশ করবেন, কেবল মাত্র তারাই বেসরকারি নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। আর যারা ৪০ এর কম নাম্বার পাবেন তারা বেসরকারি নার্সিং কলেজেও ভর্তি হতে পারবেন না।
বিএসসি নার্সিং পড়ার যোগ্যতা
বিএসসি ইন নার্সিং পড়ার জন্য প্রার্থীকে সায়েন্স / বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ন্যূনতম এইচএসসি পাশ করতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মােট ন্যূনতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম থাকলে হবে না। অর্থাৎ আপনাকে এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পরীক্ষায়ই ৩.০০ এর উপরে গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
প্রার্থীকে ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ এবং ২০২১ অথবা ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। বিএসসি ইন নার্সিং এর ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে এবং অবিবাহিত ও সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সরকারি নার্সিং কলেজে ৯০% নারী এবং ১০% পুরুষ ভর্তি হতে পারবেন। তবে বেসরকারি নার্সিং কলেজে পুরুষ প্রার্থীগন ২০% পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন।
ডিপ্লোমা নার্সিং পড়ার যোগ্যতা
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পড়ার জন্য প্রার্থীকে যে কোন বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মােট ন্যূনতম জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম থাকলে হবে না। অর্থাৎ আপনাকে এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পরীক্ষায়ই ২.৫০ এর উপরে গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
প্রার্থীকে ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ এবং ২০২১ অথবা ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ক্ষেত্রে নারী - পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে এবং অবিবাহিত ও সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সরকারি নার্সিং কলেজে ১০% পুরুষ এবং ৯০% নারী ভর্তি হতে পারবেন। তবে বেসরকারি নার্সিং কলেজ গুলোতে পুরুষ প্রার্থীগন সর্বোচ্চ ২০% পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন।
মিডওয়াইফারি পড়ার যোগ্যতা
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু মাত্র নারী প্রার্থীগন আবেদন করতে পারবেন। এই কোর্সে আবেদন করার জন্য যে কোন বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মােট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম থাকলে হবে না। অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পরীক্ষাতেই ২.৫০ এর উপরে গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
প্রার্থীকে ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি এবং ২০২১ অথবা ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে এবং সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে বিবাহিত নারীরাও আবেদন করতে পারবেন।