পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
পল্লী মঙ্গল কর্মসুচি (PMK) হল একটি জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংস্থা যা রাজধানী ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আশুলিয়া থানার অধীনে জিরাবোতে অবস্থিত। এটি ১৯৮৮ সালে কিছু স্থানীয় যুবক ও মহিলাদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা হিসাবে শুরু হয়েছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে এবং পরে ১৯৯৩ সালে বিদেশী অনুদান গ্রহণের জন্য এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা ও অগ্রগতির পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন মিসেস কামরুন নাহার, যাঁর নেতৃত্বে পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়।
পিএমকে মূলত একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক জাতীয় এনজিও। পিএমকে এমএফ প্রোগ্রাম একটি মাঝারি স্কেলে পরিচালিত হচ্ছে, একটি স্বাধীন প্রোগ্রাম হিসাবে। বর্তমানে পিএমকে ৩৩টি জেলায় শাখা পরিচালনা করছে।
এমতাবস্থায় পল্লী মঙ্গল কর্মসূচীর জন্য বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের নিমিত্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিকট থেকে আবেদনপত্র আহব্বান করা হচ্ছে।
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
- বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক বৈধ্য রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে।
- বিএসসি ইন নার্সিং/ পাবলিক হেল্থ নার্সিং , এমএসসি ইন নার্সিং/ এমপিএইচ সার্টিফিকেটধারী হতে হবে।
- প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক (বেসিক নার্সিং) পদের জন্য সর্বনিম্ন ৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ক্লিনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ও নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরাও আবেদন করতে পারবেন, তবে অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
সমস্ত পদের জন্য আগ্রহী প্রার্থীগন আগামী ১৯/১২/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে একটি বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) এবং পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ২ কপি রঙ্গিন ছবিসহ (সত্যায়িত) চেয়ারম্যান পল্লী মঙ্গল কর্মসূচী নার্সিং কলেজ, জিরাবো-বিষমাইল রোড, আশুলিয়া, ঢাকা ঠিকানায় সরাসরি হার্ড কপি জমা করবেন। অথবা অনলাইনে ই-মেইল (pmknursingcollege@gmail.com) এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
বি:দ্র: প্রার্থীকে আবেদনপত্রে অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নম্বর এবং খামের উপর/ ই-মেইলের সাবজেক্টের ঘরে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
যোগাযোগ ঠিকানা
ঠিকানা: পিএমকে ভবন, জিরাবো, আশুলিয়া, ঢাকা।
লিয়াজোঁ অফিস: বাড়ি # ১২৩, ফ্ল্যাট-এ-২ এবং বি-২, রোড- ১৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৯
ওয়েবসাইট: https://www.pmk-bd.org/
পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি, যা গ্রামাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনের জন্য চালু করা হয়েছিল। এটি মূলত গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির উদ্দেশ্য:
- গ্রামীণ জীবনের মান উন্নয়ন: গ্রামের মানুষের জীবনে আর্থিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নতি সাধন করা।
- শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি: গ্রামীণ জনগণের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, নারী শিক্ষা এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা।
- আর্থিক উন্নয়ন: ক্ষুদ্র ঋণ, পুঁজি বৃদ্ধি, কৃষি সহায়তা, প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নত করা।
- গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন: সড়ক, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সেবা এবং অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছানো।
পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির কার্যক্রম:
- ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান: নারী উদ্যোক্তা এবং কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।
- শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও পাঠদান ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে মানুষ দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ: গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা।
- কৃষি উন্নয়ন: আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, সেচ ব্যবস্থা, সেচ সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।
- মহিলা ক্ষমতায়ন: নারীদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নিজস্ব উদ্যোগে কাজে সহায়তা প্রদান।
- অবকাঠামো উন্নয়ন: রাস্তা, সেতু, ব্রিজ নির্মাণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য প্রকল্প পরিচালনা।
পল্লী মঙ্গল কর্মসূচির প্রভাব:
এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যার ফলে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কৃষি উন্নয়ন, এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
সার্বিকভাবে, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।